ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মেজাজ হারিয়ে মাঠে অসদাচরণের দায়ে পাঁচ লাখ টাকাসহ তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম।
শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
গতকাল আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে বসেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব। এলবি ডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেয়ায়, স্ট্যাম্পে লাথি মারেন সাকিব। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা এলে, আবারো সাকিবের হঙ্কার। কেন বন্ধ করা হলো, সেই প্রশ্নের সাথে স্ট্যাম্প তুলে ছুঁড়ে মারেন। ডিপিএলে আজ বিরতি। কাল আবার মাঠে গড়াবে খেলা। তার আগেই সাকিবের শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে সিসিডিএম।
শুক্রবার ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মাঠের খেলা ছাপিয়ে ম্যাচে আলোচনায় উঠে আসে আম্পায়ার ও আবাহনীর কর্মকর্তাদের সাথে সাকিবের দ্বন্দ্ব।
ঘটনাটি ঘটে আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল আবাহনী। তখন প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন সাকিব। তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মুশফিক চার ও ছয় মারার পর শেষ বলটি মুশফিকের প্যাডে আঘাত হানলে জোরালো আবেদন করে সাকিব।
কিন্তু সে আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রাগে ক্ষোভে লাথি মেরে বোলিং প্রান্তের স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। আম্পায়ারের সাথে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করার পর সাকিবকে সরিয়ে নেন সতীর্থরা।
এরপর বৃষ্টি আসার আগেই খেলা বন্ধ করায় আম্পায়ারের সামনেই স্ট্যাম্পগুলো তুলে আছাড় মারেন সাকিব। পরে বিবাদে জড়ান আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথেও।
সবশেষ লিগের সুরক্ষা বলয় ভঙ্গের অভিযোগে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার পর মোহামেডানকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিল সিসিডিএম।
সাকিব অবশ্য তার অশোভন আচরণের জন্য খেলা শেষে ম্যাচ অফিসিয়ালদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন সুজনসহ অন্যদের কাছে।পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মানবিক এই ভুলের জন্য ক্ষমা চান তিনি।
//ইয়াসিন//